Makar Sankranti: পিঠে নাকি পিঠা? কোনটা আসল!
সবেমাত্র শেষ হয়েছে পৌষ মাস। বাঙ্গালীদের কাছে পৌষ মাস মানেই আবেগ। পিঠে পুলির আবেগ।
Makar Sankranti: সবেমাত্র শেষ হয়েছে পৌষ মাস। বাঙ্গালীদের কাছে পৌষ মাস মানেই আবেগ। পিঠে পুলির আবেগ। এই সময়ে ঘরে ঘরে বাঙালিরা মেতে ওঠেন পিঠে পার্বণ (Makar Sankranti) অনুষ্ঠানে। চলছে পৌষ সংক্রান্তির (Makar Sankranti) দিন অথচ বাঙ্গালীদের রান্নাঘরে থাকবেনা পিঠে এমন আবার হয় নাকি! কারণ ভোজন প্রিয় বাঙ্গালীদের কাছে এই স্বাদের কদরই আলাদা। শোনা যায়, রসালো পিঠের প্রশংসা করতে বাদ দেননি স্বয়ং কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও।
আরও পড়ুন: Tollywood Picnic: পিকনিকে গিয়ে প্রেমে মগ্ন রাজ-শুভশ্রী, মঞ্চে উঠে থুতু ফেললেন বুম্বা দা!
যখন তিনি শান্তিনিকেতনে থাকতেন তখন নিজের হাতে এক মহিলা তাঁকে পিঠে বানিয়ে খাইয়েছিলেন। পরবর্তীকালে পিঠের স্বাদ কেমন হয়েছিল তা জিজ্ঞাসা করায়, তিনি জানিয়েছিলেন,
‘লোহা কঠিন পাথর কঠিন
আর কঠিন ইস্টক
তার অধিক কঠিন কন্যে
তোমার হাতের পিষ্টক।’
Unknown Fact of Makar Sankranti
কিন্তু হঠাৎ করে এই মিষ্টির নাম কেন হল পিঠে? কখনো কি ভেবে দেখেছেন এর নেপথ্যে রয়েছে কি ইতিহাস? পিঠেপুলি নামে পরিচিত হলেও আসল কথাটি হল কিন্তু পিঠা।। কিন্তু এই শব্দটি এসেছে কোথা থেকে?
জানা গিয়েছে, এই পিঠা শব্দটি এসেছে সংস্কৃত শব্দ পৃষ্ঠক থেকে। আবার এই পৃষ্ঠক শব্দটি এসেছে পিষ ক্রিয়া মূলে তৈরি হওয়া শব্দ পিষ্ট থেকে, যার অর্থ চূর্ণিত, মর্দিত বা দলিত। চাল গুঁড়ো করে এই মিষ্টি বানানো হয় বলে এর নাম পিঠা (Makar Sankranti)।
হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচিত বঙ্গীয় শব্দকোষ থেকে জানা গিয়েছে, পিঠা হল এক বিশেষ মিষ্টান্ন, যা তৈরি করা হয় চাল গুঁড়ো, ডাল বাটা, গুড় ও নারকেল ইত্যাদির মিশ্রণে।
মনে করা হয়, আনুমানিক ৫০০ বছর আগে থেকেই বাঙালি খাদ্য সংস্কৃতিতে পিঠার জনপ্রিয়তার বিভিন্ন দিক সযত্নে পালন করছেন। যেহেতু প্রাচীন বইপুস্তকে পিঠার কথা এসেছে তাই এক্ষেত্রে ধরে নেয়াই যায় পিঠা খাবার প্রচলন বাঙালি জাতির মধ্যেও অনেকটাই পুরনো। বড় উপমহাদেশে বসবাস করা বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর কাছেও অতি জনপ্রিয় হলো এই বিশেষ মিষ্টি জাতীয় খাবার পিঠা।
পঞ্চাশ শতাব্দী থেকে অষ্টাদশ শতাব্দীতে বিভিন্ন কাব্যগ্রন্থে নানার দিকেই পিঠে (Makar Sankranti) পুলির উল্লেখ পাওয়া গিয়েছে। এর উল্লেখ রয়েছে চৈতন্য মঙ্গলেও। যেখানে লেখা আছে,
‘পিঠা পানা ভোজনে বৈষ্ণবে সন্তোসিলা,
মাল্য চন্দন দিয়া সভারে ভূশিলা’
এ ছাড়া মনসা মঙ্গলেও রয়েছে পিঠার উল্লেখ। এই কাব্যগন্থে লেখা হয়েছে
‘খিড় খিড়িয়া রন্ধ্রে দুগ্ধের পঞ্চপিঠা,
গুড় চিনি দিয়া রান্ধ্রে খাইচে লাগে মিঠা।’
এছাড়াও এর উল্লেখ পাওয়া যায় মনসামঙ্গলেও,
‘খিড় খিড়িয়া রন্ধ্রে দুগ্ধের পঞ্চপিঠা,
গুড় চিনি দিয়া রান্ধ্রে খাইচে লাগে মিঠা।’
সব খবরের আপডেট সবার আগে পেতে অবশ্যই ফলো করতে পারেন আমাদের ফেসবুক পেজকে।