Kar Kache Koi Moner Katha: মেয়ে মেয়েদের শত্রু নয় বরং সবচেয়ে ভালো বন্ধু, এমন কাহিনীর ওপর ভিত্তি করেই শুরু হয়েছিল ‘কার কাছে কই মনের কথা’। শুরু থেকেই অন্য ধাঁচের কাহিনী নিয়ে এগিয়েছে এই ধারাবাহিক। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার নিয়ে গল্প সিরিয়ালে সাধারণত দেখা যায়। সেই অত্যাচারের প্রতিবাদে বন্ধুদের পাশে এসে দাঁড়ানো এ ঘটনা খুব কম দেখা যায়। মেয়েরা যে মেয়েদের বড় অবলম্বন হতে পারে তাই দেখানো হচ্ছিল এই গল্পে।
তবে এই ধারাবাহিকের গল্প বর্তমানে আবারও টানটান উত্তেজনার মাঝে ভরা বাঁকে এসে দাঁড়িয়েছে। গল্পের শুরু থেকেই দেখা গিয়েছিল পরাগ শিমুলের ওপর অত্যাচার করে। তারপর অনেক জল গড়িয়েছে। এসেছে পরকীয়া, ডিভোর্স, অ্যাক্সিডেন্ট শেষে পরাগের চিত্ত উদয়। এতদিন ধরে গল্পে দেখানো হয়েছে পরাগ ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে। একইসঙ্গে তার এবং শিমুলের সম্পর্ক ভালো হয়ে উঠছে। তারা একে অপরের কাছাকাছি আসছে। কিন্তু তারমাঝেই আবার ফের বিপত্তি!
Kar Kache Koi Moner Katha
বর্তমানে দেখা যাচ্ছে পরাগের গাড়িতে আবারও এক্সিডেন্ট হয়। এতদিন সে হাসপাতালে ভর্তি ছিল। শিমুল পরাগকে দেখতে এলে পরাগ জানায় সে তাকে চিনতে পারছে না। শিমুল মাথায় হাত দিতেই হাতটা সরিয়ে দিয়ে পরাগ বলে ‘আপনি কে!’ এরপর নার্সও জানায় পরাগ কাউকে চিনতে পারছে না। শিমুল নানাভাবে তাকে পুরনো কথা মনে করানোর চেষ্টা করলেও কোনভাবেই পরাগ কাউকে চিনতে পারেনি।
এখন দেখা যাচ্ছে হাসপাতাল থেকে তাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই স্মৃতি হারানোর সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে যে পলাশ আর প্রতীক্ষা যে কিছু ভুল কাজ করবে, ষড়যন্ত্র করবে তা আশা করা যায়। কিন্তু এই ট্র্যাক মোটেও পছন্দ হয়নি দর্শকদের। অহরহ কটাক্ষের মুখে পড়তে হচ্ছে ধারাবাহিককে। ইতিমধ্যে এই ঘটনা দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় হাসির রোল উঠেছে।
কেউ লিখেছেন বাস্তব জীবনেও এক্সিডেন্ট হয় কিন্তু ধারাবাহিকে এক্সিডেন্ট হলে সবারই স্মৃতি লোপ হয়ে যায়। আবার আরেকজন দর্শক লিখেছেন আসলে স্মৃতি হারায়নি, পরাগ পলাশকে হাতেনাতে ধরার জন্য এই অ্যাক্টিং করছে বলেই মনে হচ্ছে। আবার অনেকের ধারণা শিমুলের কাছে সত্যি পরাগের কোনো কদর আছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্যই এই স্মৃতি হারানোর নাটক। আদবে ঘটনা কোন দিকে মোড় নিতে চলেছে তা জানতে চোখ রাখতে হবে আগামী পর্বগুলিতে।