Healthy Drinks: ডিহাইড্রেশন রুখতে গরমের দিনে ব্যবহার করুন ইলেকট্রোলাইট পানীয়! জেনে নিন বিশেষজ্ঞের বিশেষ টিপস
চৈত্রের শুরু থেকেই তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বমুখী। গ্রীষ্মের শুরুতেই দাবদাহ গরমে হাঁসফাঁস করছে সকলেই। এই গরমে শরীরকে সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত জল খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তবে অনেকসময় পর্যাপ্ত জল খেলেও শরীরে জলের ঘাটতি পরিলক্ষিত হয় যার থেকে ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়।
এই বিষয়ে এক বিশ্বস্ত সংবাদমাধ্যমকে সেলিব্রটি ক্রীড়া পুষ্টিবিদ সোনা প্রভু জানিয়েছেন, অতিরিক্ত গরমে শরীরের ‘ইলেক্ট্রোলাইট’ পানীয়ের দরকার। বেশ কিছু ইলেক্ট্রোলাইট পানীয় শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে এবং ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। আজকের প্রতিবেদনে সেই সমস্ত ইলেকট্রোলাইট পানীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
ডাবের জল:
গ্রীষ্মকালে ডাবের জল শরীরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই জল মানুষের শরীরে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং সোডিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইট সরবরাহ করে যার কারণে শরীরে প্রচুর জল আসে। ডাবের জলে চিনিযুক্ত পানীয়ের চেয়ে বেশি প্রাকৃতিক চিনি থাকায় এটি শরীরকে তাৎক্ষণিক শক্তি দিয়ে থাকে।
লেবুর শরবত:
গ্রীষ্মেকালে শরীরকে সুস্থ ও হাইড্রেট রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলো লেবুর জল। গরমকালে অনেকেই লেবু,জল, চিনি ও লবণ দিয়ে ঘরে একপ্রকার পানীয় তৈরি করেন। এই পানীয়টি যে শুধু তৃষ্ণা নিবারণ করে তা নয় সঙ্গে শরীরকে ভিটামিন সি এবং ইলেক্ট্রোলাইটও সরবরাহ করে যার কারণে হাইড্রেশনের সমস্যা হয় না।
বাটারমিল্ক:
দই ও পানি দিয়ে তৈরি হয় এই বাটার মিল্ক তবে এর মধ্যে চিনি এবং জিরে যোগ করে এটিকে আরও সুস্বাদু করে তোলা হয়। হজম এবং শরীরের তাপমাত্রা ঠান্ডা করার জন্য এটি অত্যন্ত উপকারী। গরমের দিনে এই বাটারমিল্ক পান করলে শরীরে প্রচুর ইলেক্ট্রোলাইট পাওয়া যায়।
জলজিরা
গ্রীষ্মকালীন পানীয়র মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় হলো জলজিরা। জলে ধনে, জিরে ও অন্যান্য মশলা মিশিয়ে এই পানীয় তৈরি করা হয়। এই পানীয় একদিকে যেমন শরীরের তাপমাত্রা কম করে অন্যদিকে হজমের সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়। শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে এই পানীয়।
এই পানীয়গুলি ছাড়াও, সারা দিন শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার জন্য নিম্নলিখিত আরো বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন সোনা প্রভু। যেমন:
গরমের দিনে বাইরে বেরোলে অবশ্যই সঙ্গে একটি জলের বোতল রাখা উচিত এবং সারা দিন অল্প অল্প করে জল খাওয়া উচিত।
খাদ্যতালিকায় তরমুজ, শসা এবং পালং শাকের মতো এমন ফল ও সবজি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যাতে শরীরে জলের ঘাটতি দেখা না যায়।
গরমের দিন চিনিযুক্ত পানীয়, ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল গ্রহণ সীমিত করতে হবে। এতে প্রস্রাবের পরিমাণ বেড়ে শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
মশলাদার খাবার থেকে দূরে রাখতে হবে নিজেকে। কারণ এতে ঘন ঘন জল তেষ্টা পায় এবং এই পদার্থগুলি শরীরের তরল এবং ইলেক্ট্রোলাইটগুলিকে হ্রাস করতে পারে।
One Comment